৬৯ ফ্রিল্যান্সার ও ২৫ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিল বেসিস
ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৬৯ ফ্রিল্যান্সার ও ২৫ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার...
https://abhera.blogspot.com/2015/11/blog-post_99.html
ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৬৯ ফ্রিল্যান্সার ও ২৫ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। পুরস্কার হিসেবে তাঁরা পেয়েছেন ‘ক্রেস্ট’।
পঞ্চমবারের মতো ‘বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৫’ শীর্ষক আয়োজনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে এ আয়োজন করে বেসিস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি শামীম আহসান। বক্তব্য রাখেন ব্যাংক এশিয়ার অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এবং বেসিসের মহাসচিব উত্তম কুমার পাল।
বেসিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় অনলাইন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং এ কাজে দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বীকৃতি দিতে বেসিস গত কয়েক বছর ধরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। কয়েকটি ধাপে নিবিড় পর্যালোচনা ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। পুরস্কারের ক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণ, কর্মসংস্থান ও তাদের সামাজিক ভূমিকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আউটসোর্সিংকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এ বছর ৬৪টি জেলা থেকে সেরা ৫৮ জন ফ্রিল্যান্সার বাছাই করা হয়। আটটি জেলা থেকে যোগ্য ফ্রিল্যান্সার পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ক্যাটাগরিতে আটজন এবং তিনজনকে নারী ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাটাগরিতে ১৫টি কোম্পানি ও স্টার্টআপ বা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১০টি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছে।
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৫ আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম), ব্যাংক এশিয়া, পেওনিয়ার ও বিডিজবস ডটকম।
প্রধান অতিথি এম এ মান্নান তাঁর বক্তৃতায় বলেন, আমরা ২০২০ সাল নাগাদ ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং তথা তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কাজের কোনো বিকল্প নেই। তরুণেরা তথ্যপ্রযুক্তিতে তাদের যোগ্যতা ও জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, আউটসোর্সিং তথা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অমিত সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। প্রতিবছর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ২০ হাজার আইটি প্রফেশনালস বের হচ্ছে। এ ছাড়া সরকার তথ্যপ্রযুক্তিকে শিক্ষা কার্যক্রম বাধ্যতামূলক করছে। শিক্ষার প্রসারে দেশের ১২৫ উপজেলায় আইসিটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব উপজেলায় এ ধরনের আইসিটি ভবন নির্মাণ করা। আর এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তিতেই সবচেয়ে বেশি জনবল তৈরি হবে, আর তার মধ্যে আউটসোর্সিংয়ে সংশ্লিষ্টতা থাকবে সবচেয়ে বেশি।
বেসিস সভাপতি শামীম আহসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, পুরস্কার বিজয়ীদের অনুপ্রাণিত করতে এবং ভবিষ্যতে তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি ব্যক্তি পর্যায়ে অথবা আইটি উদ্যোক্তা হিসেবে অনলাইন আউটসোর্সিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে বেসিসের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷