শীতে ত্বকের যত্ন আত্তি
শীতে প্রকৃতিতে আদ্রতা কম থাকে। কম আদ্রতামুক্ত প্রকৃতি শরীরের মুখ, হাত-পা সহ পুরো শরীরের ত্বক থেকে পানি শুষে নেয়। ত্বক হয়ে য...
https://abhera.blogspot.com/2016/01/blog-post_36.html
শীতে প্রকৃতিতে আদ্রতা কম থাকে। কম আদ্রতামুক্ত প্রকৃতি শরীরের মুখ, হাত-পা সহ পুরো শরীরের ত্বক থেকে পানি শুষে নেয়। ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ ও শুষ্ক। অনেকের মধ্যে শুষ্কতা এতো বেড়ে যায় যে এর ফলে ত্বক কুচকে যায়, ত্বকে ভাঁজ দেখা দেয়, এমনকি একজিমার মতো মারাত্মক চর্মরোগ দেখা দেয়। শীতের বিরূপ প্রভাব থেকে আপনার ত্বককে নিরাপদ রাখতে যা করণীয়- ১- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। এতে আপনার ত্বকের সজীবতা বজায় থাকবে। ২- ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লোশন ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে ময়েশ্চারাইজার যেন অয়েন্মেন্ট জাতীয় হয়। পানিতে দ্রবণীয় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এই অয়েনমেন্ট ত্বকে একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে ফলে ত্বক বেশি পরিমাণ পানি ধারণ করতে পারে। ময়েশ্চারাইজিং অয়েনমেন্টের উপাদানের মধ্যে যেন সরবিটল, গ্লিসারন, আলফা হাইড্রোক্সি এসিড থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে। ৩- বাইরে বের হবার কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। ৪- হাতে ও পায়ে গ্লাভস ও মোজা পরতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে এগুলো যাতে আরামদায়ক ও যতদূর সম্ভব সুতি কাপড়ের তৈরি হয়। ভেজা মোজা ও গ্লাভস পরবেন না এতে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। ৫- অফিস ও বাড়িঘরে সম্ভব হলে হিউমিডিফায়ার যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন, এতে ত্বক অপেক্ষাকৃত কম সুষ্ক হবে। ৬- শীতে আমরা গরম পানি দিয়ে গোসল করি। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন খুব বেশি গরম না হয়। গরম পানিতে ত্বকের চর্বীয় স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এতে ত্বকের আদ্রতা কমে যায়। দশ মিনিটের বেশি গরম পানিতে শাওয়ার না নেওয়াই ভালো। ৭- মুখ ও ত্বকে প্যাক হিসেবে চিনিযুক্ত মধু ব্যবহার করতে পারেন। মধু ত্বকের প্রদাহ রোধ করে। চিনি ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। যাতে ত্বক থাকে সজীব ও কোমল। ৮- সাবান ও এলকোহলমুক্ত বডি ক্লিনসিং ব্যবহার করুন। ৯- দৈনন্দিন জীবন যাপন চাপমুক্ত ও আনন্দময় রাখার চেষ্টা করুন। মানসিক ও শারীরিক চাপ সোরিয়াসিস, একজিমাসহ চর্মরোগের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। ১০- ঠোঁট আদ্র রাখতে লিপ-বাম ব্যবহার করুন।
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷