আজকাল নিজেকে সব সময় সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখাটা যেন জীবনেরই একটা অংশ। আপনি নারী হোন বা পুরুষ, একটি সুন্দর মুখের কদর কিন্তু সর্বত্রই। আর তাই...
আজকাল নিজেকে সব সময় সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখাটা যেন জীবনেরই একটা অংশ। আপনি নারী হোন বা পুরুষ, একটি সুন্দর মুখের কদর কিন্তু সর্বত্রই। আর তাই নিজেকে সুন্দর দেখাতে কে না চায়! জেনে নিন, ফর্সা হওয়ার বা ফর্সা থাকার কিছু টিপস।
প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের রঙ স্থায়ীভাবে ফর্সা করার ২টি ঘরোয়া উপায়
অনেকেরই আক্ষেপ থাকে গায়ের রঙ নিয়ে। দিন যাপনের নানা আয়োজনে আমাদের প্রায় সবারই গায়ের রঙটা ময়লা হয়ে যায়। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শারীরিক অসুস্থতা, দীর্ঘ সময় রান্নাঘরে কাজ করা ইত্যাদি কারণে ত্বক হারিয়ে ফেলে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। হয়ে যায় কালচে ও বিবর্ণ। রং ফর্সাকারী ক্রিমের কদর তাই কমে না কখনোই।
কিন্তু আসলে সত্যিই কি এসব ক্রিমে গায়ের রঙ ফর্সা হয়? মুখের রঙ হয়তো একটুখানি উজ্জ্বল হয়, কিন্তু পুরো শরীরের ত্বক? সেটা কিন্তু আসলে হয়ে ওঠে না। পার্লারগুলোতে আছে রঙ ফর্সা করার নানা আয়োজন। যেমন স্কিন ব্লিচ, ফেয়ার পলিশসহ আরো কত কী। জেনে রাখুন, এসবই আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তাহলে কী করবেন? ঘরোয়া পদ্ধতিতে গায়ের রঙ ফর্সা করার রয়েছে সহজ উপায়। শুধু তাই নয়, এভাবে যে ফর্সা রঙটা আপনি পাবেন সেটা হবে স্থায়ী। সৌন্দর্য সেটাই, যা ভেতর থেকে আসে। আসুন জানি প্রাকৃতিকভাবে রঙ ফর্সা করার ২টি পদ্ধতি।
* ভেতর থেকে রঙ করুন উজ্জ্বল
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করতে না পারলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আপনার রঙ হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা। দুধে কাঁচা হলুদ বাটা না মিশিয়ে করতে পারেন আরেকটি কাজ। দেড় ইঞ্চি সাইজের এক টুকরা হলুদ নিন। তারপর টুকরা করে কেটে এক গ্লাস দুধে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধে গাঢ় হলুদ রঙ ধরলে পান করুন। এভাবে প্রতিদিন একবার পান করবেন।
* রূপচর্চায় হলুদ
শুধু দুধের সঙ্গে নয়, বাহ্যিক রূপচর্চায়ও হলুদ আপনার রঙ পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে কালচে ছোপ দূর করতে এ পদ্ধতি খুব কার্যকর।
* উপকরণ
দুধ ৩ টেবিল চামচ, লেবুর রস এক টেবিল চামচ এবং কাঁচা হলুদ বাটা এক চা চামচ
* কিভাবে ব্যবহার করবেন?
দুধ, লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়া এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বা পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে এ পেস্ট ভালোভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। গরম পানি দিয়ে মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাবেন না।
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷