পরকীয়া প্রেম l বন্ধুর দুঃখে নিজ বউকেই দিয়ে দিলেন!
https://abhera.blogspot.com/2017/07/l.html
বন্ধুর পাশে দাঁড়াতে বন্ধুকে টাকা-পয়সা, সোনাদানা, জমি-বাড়ি দেওয়ার কথা শুনেছেন। আর উপহার হিসেবে দামি গাড়ি, মোবাইলসেট ঘড়ি অথবা পোশাক দেওয়ার কথাও শুনেছেন। কিন্তু বন্ধুর দুঃখ-কষ্ট মোচনে নিজের বউকেই দিয়ে দেওয়ার কথা শুনেছেন কী? বিচিত্র বটে। হ্যাঁ এরকমই ঘটনা ঘটেছে।
বন্ধুর কষ্ট মোচনে নিজের বিয়ে করা বউকে দান করে দিলেন এক বন্ধু। বন্ধুর দুঃখে দুঃখী হয়ে নিজের বউকে বন্ধুর হাতে তুলে দিয়েছেন ফরমান আলী ওরফে বৈজ্ঞানিক (৫২) নামের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে কুলাউড়া উপজেলায়।
২৯ সেপ্টেম্বর রাতে পৃথিমপাশা কাজী অফিসে ফরমান আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী নূরেতুন বেগম (৩২) তার স্বামীর বন্ধু মাসুক মিয়াকে (৩৭) স্বামী হিসেবে বরণ করে নেন। রাতেই নতুন বউকে নিয়ে মাসুক মিয়া জয়পাশায় তার নিজ বাড়িতে ওঠেন।
ফরমান আলী কর্মধা ইউনিয়নের মনছড়া বস্তির বাসিন্দা ও একজন নার্সারী মালিক। আর মাসুক মিয়া হবিগঞ্জের মনতলার বাসিন্দা হলেও কুলাউড়া পৌরসভার জয়পাশা এলাকায় বসবাস করেন। পেশায় তিনি একজন রিকশা চালক।
স্থানীয়রা জানান, মাসুক মিয়ার সঙ্গে ফরমান আলীর দীর্ঘদিনের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কিছুদিন আগে মাসুক মিয়ার স্ত্রী তিন মেয়ে আর এক ছেলে রেখে পরকীয়া প্রেমের টানে চলে যান। ছেলে-মেয়েসহ বন্ধুকে একা করে বউয়ের চলে যাওয়া ফরমান আলীর মনে দাগ কাটে। তার ঘরে দুই বউ থাকায় তিনি পরিকল্পনা করেন বন্ধুকে উপহার স্বরূপ তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে দিয়ে দেবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। তার পরিকল্পনার কথা জেনে খুশিই হন মাসুক মিয়া।
এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় স্ত্রী নূরেতুন বেগমকে নিয়ে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রবিরবাজারে কাজী অফিসে গিয়ে উপস্থিত হন ফরমান আলী। সেখানে তিনি নূরেতুনকে তালাক দেন। একই সময়ে চারজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ২০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বন্ধু মাসুক মিয়ার সঙ্গে নূরেতুন বেগমের বিয়ে দিয়ে দেন।
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷