দোষণীয় কিছু অভ্যাস যা সাধারণতঃ মেয়েদের মাঝে দেখা যায়
এই পোস্টের মাধ্যমে বইয়ের লেখক মেয়েদের বেশ কিছু দোষণীয় বদ অভ্যাস গুলো তুলে ধরেছেন। যা মেয়েদের জীবনে থাকা উচিৎ নয়। আদর্শ মেয়েদের এই অভ্যাস ...
https://abhera.blogspot.com/2015/11/blog-post_20.html
এই পোস্টের মাধ্যমে বইয়ের লেখক মেয়েদের বেশ কিছু দোষণীয় বদ অভ্যাস গুলো তুলে ধরেছেন। যা মেয়েদের জীবনে থাকা উচিৎ নয়। আদর্শ মেয়েদের এই অভ্যাস গুলো পরিহার করা উচিৎ। আসুন এই দোষণীয় অভ্যাস গুলোর সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
(১) মেয়েদের একটি দোষ হলো এরা কথার সোজা উত্তর না দিয়ে ঘুরিয়ে
এদিক সেদিকের বার কথা মিলিয়ে কথা বলে। এরপরও আসল কথার হদিস
পাওয়া যায় না। মনে রেখ কেউ কোন কথা জিজ্ঞাসা করলে আগে এর অর্থ
ভাল করে বুঝে নাও। তারপর প্রয়োজনমত উত্তর দিয়ে দাও।
দিয়ে চুপ থাকে। বলনে ওয়ালা দ্বিধা—দ্বন্দে পড়ে যায়—আল্লাহই জানে
শুনল কি না। অনেক সময় সে আশায় থাকে কাজ হয়ে যাবে কিন্তু
দেখা গেল কাজের জায়গায় কাজ পড়ে আছে—জিজ্ঞাসা করলে বলে
আমি তো শুনিই নি আপনি কিসের কথা বলেছেন। আবার অনেক
সময় শুনেনি মনে করে দ্বিতীয় বার বললে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে
বলে শুনছি তো একশ বার বলতে হবে নাকী? অথচ কথা শুনামাত্র
সে যদি বলে দিত, আচ্ছা ঠিক আছে। সব ঝামেলা চুকে যেত।
(৩) অনেক সময় আবার চাকরানীকে বা অন্য কাউকে কোন আদেশ
করতে হলে দূরে থেকে চিৎকার করে বলে। এতে দুটি অসুবিধা হয়—
(ক) একে তো বেপরদেগী ও নির্লজ্জতা বৈঠক ঘরে বরং কোন সময়
রাস্তায় পর্যন্ত আওয়াজ শুনা যায়
(খ) দূরে থেকে কিছু কথা বুঝা যায় কিছু যায় না। যতটুকু বুঝতে পারে
অতটুকু কাজ হয় বাকী কাজ পড়ে থাকে। এখন মেম সাহেব চটে যান,
কেন কাজ হলো না। অন্যে জবাব দিচ্ছে শুনিনি। এখন সাজতো হয়নি
বলেছি শুনিনি, বলেছি শুনিনি খুব চলতে থাকে। এমনি চাকরানী কোন
খবর নিয়ে আসলে বাহির থেকেই চিৎকার করে বলতে শুরু করবে।
অথচ ভদ্রতা ছিল কোন কথা বলতে হলে কাছে গিয়ে বলত বা কাছে
ডেকে বলত কোন ঝামেলা হতো না।
(৪) আর একটি দোষ হলো কোন জিনিস প্রয়োজন হোক বা না হোক
পছন্দ হলেই কিনে ফেলবে। যদিও কর্জ করতে হয়। এতে পরোয়া নেই।
আর কর্জ না হলেই বা কি এভাবে অযথা পয়সা খরচ করার কোন
দরকার হয়। এটা তো অপব্যয় এবং গুনাহের কাজ। সুতরাং যেখানে
খরচ করবে ভেবে চিনতে দেখ প্রথমে সে এখানে খরচ করলে দ্বীনি বা
দুনিয়াবী কোন ফায়দা আছে কি না। যদি ফায়দা থাকে তবে খরচ কর
নতুবা অযথা পয়সা নষ্ট করবে না। কিছু কষ্ট হলেও সহজে ঋণ করবে না।
(৫) মহিলারা কোথাও যাওয়ার মন্সথ করলে সাজতে সাজতে অনেক
দেরী করে ফেলে। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে রওয়ানা হয়।
পথে রাত হয়ে গেলে জানমালের আশংকা হয়। গরমের দিন হলে
নিজেও রোদে পুড়ে বাচ্ছাদেরও কষ্ট হয়।
(৬) কোথাও যাবার বেলা একগাধা আসবাবপত্র সাথে নিয়ে রওয়ানা হয়।
এতে ছফরে কষ্ট হয়। বহন খরচ, ছামান নিয়ে গাড়ী ঘোড়ায় চড়া এগুলোর
রক্ষণাবেক্ষণ বেচারা সাথের পুরুষের জান শেষ। কি দরকার এতসব নিয়ে
যাওয়ার। নিতান্ত প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যাবে। সফর আরামদায়ক
ঝামেলা মুক্ত হবে।
(৭) অনেক সময় দেখা যায় গাড়ী ঘোড়ায় উঠার সময় পর্দার খেয়াল
রাখা হয় না। এমন হওয়া উচিৎ নয়। যেমনি ভাবে ঘরে পর্দা করা হয়
সফরের সময়ও পর্দা করা আবশ্যক।
(৮) অনেক সময় কোথাও যাওয়ার জন্য গাড়ী বা নৌকা ঘাটে এসে
উপস্থিত কিন্তু তৈরী হতে দেরী এটা ওটা করে এক ঘন্টা বিলম্ব ।
এতে করে ভাড়া বেশী দিতে হয়। সময় মত কাজ করা যায় না।
(৯) যে বাড়িতে যাচ্ছে সেখানে গিয়ে কোন রূপ সংবাদ ছাড়াই
সোজা ঘরে ঢুকে পড়ে। অনেক সময় পরপুরুষ ঘরে থাকতে পারে।
বেপর্দা হবে। তার চেয়ে বরং সংবাদ দিয়ে ঘরে পরপুরুষ কেউ
থাকলে সরে গেলে পরে প্রবেশ করাটা বাঞ্ছনীয়।
(১০) মেয়েদের মধ্যে দেখা যায় এক সাথে দুজনে কথা বলতে থাকে।
কেউ কারোটা শুনে না। এতে কোন ফায়দা নেই। বরং একজন কথা
বললে আর একজন শুন। পরে তার কথা শেষ হলে তুমি বল।
(১১) অনেক সময় দেখা যায় এক কাজে পাঠালে যেয়ে আর এক
কাজে লেগে যায় যখন উভয় কাজ শেষ হয় তখন ফিরে আসে
এতে যে কাজে পাঠাল তার খুব কষ্ট হয়। সে ভাবে একটা কাজ করতে
এতক্ষণ সময় লাগবে? অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুণতে থাকে। এজন্য যে
কাজে পাঠানো হয় প্রথমে সেটা শেষ করে ফিরে এসে খবর দিয়ে পরে
অন্য কাজ কর।
(১২) অলসতা ও মেয়েদের একটি বদঅভ্যাস, অনেক সময় দেখা যায়
সময় মত কাজ না করে রেখে দিয়েছে। এতে অনেক সময় ক্ষতি হয়।
(১৩) অনেক মেয়েদের দ্রুত সংক্ষেপে কোন কাজ শেষ করার
মানসিকতা নেই। সময়ও বুঝে না যে এখন তাড়াতাড়ি কোনরকম
কাজ শেষ করা উচিৎ। বরং সে তার আপন গতিতে কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে চাই কিয়ামত হয়ে যাক। এতে করে অনেক সময় মেহনত বিফলে যায়।
(১৪) কোন কিছু হারিয়ে গেলে যাচাই করা ছাড়াই কারো প্রতি অপবাদ
দিয়ে দেয়। কেউ অন্য কোনকিছু চুরি করেছিল। ব্যাস, অকপটে বলে দিবে
এটা তারই কাজ। অথচ এটা কোন কথা নয় যে একটা দোষ কেউ করেছে
বলে সব দোষ সেই করবে। এমনি ভাবে অন্যান্য ব্যাপারেও সামান্য সন্দেহ
হলেই দৃঢ়বিশ্বাস করে ফেলে এবং তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে দেয়।
(১৫) কেউ আবার চা পানে এত বেশী খরচ করে যে, গরীব স্বামীর তা
বহন করা কষ্ট হয়। ধনী হলে এ খরচ দিয়ে এক ফ্যামিলি দিব্বি চলতে
পারে। অনেক সময় বিনা প্রয়োজনেই খেতে শুরু করে। অথচ বেশী চা পান খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
(১৬) এদের সামনে দু ব্যক্তি কথা বলতে থাকলে জিজ্ঞাসা না করলেও আগে
বেড়ে তাদের কথায় দখল দিতে চেষ্টা করে। এটা উচিৎ নয়। বরং তোমাকে
কেউ জিজ্ঞাসা করলে তখন তুমি বল।
(১৭) কোন মজলিস থেকে ফিরে এসে সকল মেয়েদের আকৃতি প্রকৃতি
পোষাক অলংকারের কথা স্বামীর নিকট বলতে শুরু করে। যদি স্বামীর মন
কারো দিকে আকৃষ্ট হয়ে যায় তবে তোমারই তো ক্ষতি হবে।
(১৮) কারো নিকট কোন প্রয়োজনীয় কথা বলতে গেলে তার ব্যস্ততার প্রতি
লক্ষ্য না করে নিজের কথা বলতে শুরু করে। এমন করা ঠিক নয়। বরং
অপেক্ষা করা উচিৎ সে কাজ বা কথা শেষ করে এদিকে তাকালেই তার
নিকট নিজের প্রয়োজনীয় কথা বলবে।
(১৯) সব সময় অর্ধেক ও অসম্পূর্ণ বললে খবর পৌঁছায় অসম্পূর্ণ।
এতে অনেক সময় ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।
(২০) পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কারো কথা শুনবে না। বরং মাঝে মাঝে নিজের
কাজও করছে অন্যের সাথে কথাও বলছে। এটা ভাল নয়।
(২১) নিজের ভুল কখনো স্বীকার করবে না। খাটুক বা না খাটুক জবাব
একটা দিয়েই দিবে। অযথা কথা বানিয়ে নির্দোষ হওয়ার চেষ্টা করে।
(২২) কেউ কোন অল্প বা সাধারণ জিনিস দিলে নাক সিটকাবে তিরস্কার
করবে। এমন জিনিস পাঠাতে বলেছিল কে। এত ছোট জিনিসটি পাঠাতে
লজ্জা করল না ইত্যাদি বলে বেড়াবে এটা খুব খারাপ কথা। সে তোমার
কোন ক্ষতি করেনি। সামর্থ্য অনুযায়ী পাঠিয়েছে। এমনি আচরণ স্বামীর
সাথেও করে থাকে। কোন বস্তু সাচ্ছন্দে গ্রহণ করে না। আগে দোষ বের
করবে পরে গ্রহণ করবে।
(২৩) কোন কাজের কথা বললে আগে কিছু বক বক করবে পরে অবশ্য
কাজ এটা করে দিবে। কাজ যখন করবেই তাহলে হা—হুতাশ করে কি লাভ।
খামাখা অন্যের মনে কষ্ট দেওয়া।
(২৪) পরিধানে রেখেই কাপড় সেলাই করবে। কোন সময় সুই ফুটে যায়।
দরকার কি অনর্থক এই কষ্ট স্বীকার করার।
(২৫) কোথাও আসা—যাওয়ার সময় সকলে মিলে কান্নাকাটি করবে।
চাই কান্না না আসুক তবুও এরূপ করবে। কারণ না কাঁদলে অন্যেরা
মনে করবে যে, তাদের প্রতি মহব্বত নাই।
(২৬) বালিশে বা অন্য কোথাও সুই রেখে উঠে যাবে। এতে অনেক
সময় অন্য কারো গায়ে সুই ফুটার আশংকা থাকে।
(২৭) বাচ্ছাদেরকে শীত গরম থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করবে না।
অনেক বাচ্ছা এ কারণে অসুস্থ্য হয়ে যায়। পরে তাবিজ—তুমারের
পিছনে ছুটতে থাকে কিন্তু তারপরেও সতর্ক হয় না।
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷