স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেসব কাজ করবেন,

সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের বিশেষ মনোযোগ থাকলেও কোনো এক অদ্ভুত কারণে নিজের স্তনের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশীরভাগ নারীরই তেমন উৎসাহ ...

সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য রক্ষায়
আমাদের বিশেষ মনোযোগ থাকলেও কোনো
এক অদ্ভুত কারণে নিজের স্তনের স্বাস্থ্যের
প্রতি বেশীরভাগ নারীরই তেমন উৎসাহ
দেখা যায় না। অথচ শরীরের আর দশটি
অঙ্গের মতো স্তনের যত্ন নেওয়াটাও জরুরী।
বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সের পর আমাদের
জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনের
কারণে স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাটাও
হয়ে পড়ে জরুরী। জেনে নিন স্তনের স্বাস্থ্য
সুরক্ষায় অবশ্য করণীয় কিছু কাজ।
১) ব্যবহার করুন সঠিক মাপের ব্রা:
আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর ব্রা ব্যবহার
করুন এবং অবশ্যই সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার
করুন। সময়ের সাথে ব্রা সাইজ চেঞ্জ হতে
পারে এ কারণে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা
জরুরী।
২) মাঝে মাঝে ব্রা ছাড়াই থাকুন: বাড়িতে
ব্রা ছাড়াই থাকার চেষ্টা করুন। এতে
আপনার শরীর অনেকটা শান্তি পাবে। মাঝে
মাঝে স্পোর্টস ব্রা পরেও থাকতে পারেন।
৩) মাসাজ করুন: শুধু হাত-পা নয়, রক্ত চলাচল
বজায় রাখতে মাঝে মাঝে স্তন মাসাজ
করতে পারেন।
৪) নিজে থেকেই পরীক্ষা করুন: নিজের স্তন
নিজে পরীক্ষা করলে ক্ষতি কোথায়?
কোনো রোগ আপনার স্তনে বাসা বেঁধেছে
কিনা তা জানতে মাঝে মাঝে স্তন পরীক্ষা
করুন নিজেই। স্তনে কোনো রকম পরিবর্তন
দেখতে পেলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা
বলুন।
৫) স্বাস্থ্যকর খাবার খান: মধ্যবয়সে
মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। এ সময় থেকেই
বেশি করে ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়া
উচিৎ। এতে সারা শরীরের পাশাপাশি
আপনার স্তন থাকবে সুস্থ।
৬) ময়েশ্চারাইজিং: সারা শরীরের ত্বকের
মতো স্তনের ত্বকেও পড়তে পারে বয়সের
ছাপ, বলিরেখা এবং কুঞ্চন। এ কারণে
নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাটা
জরুরী।
৭) ধূমপান নিষিদ্ধ: খুব কম সময়েই আমাদের
বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে ধূমপান। এর
পাশাপাশি স্তন ঝুলে যাবার কারণও হয়ে
দাঁড়াতে পারে ধূমপান। সুতরাং নিজের শরীর
ভালো রাখতেই বাদ দিন এই বিশ্রী
অভ্যাসটি। কমিয়ে ফেলুন ক্যাফেইন এবং
অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রাও।
৮) ব্যায়াম করুন: বয়স বাড়ার সাথে সাথে
শরীরকে ফিট রাখতে করুন ব্যায়াম। স্তনের
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য করতে পারেন এই
ব্যায়ামগুলো। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে কমে
যাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি।
৯) ম্যামোগ্রাম: একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর
স্তন সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ডাক্তারের সাথে কথা বলে বার্ষিক স্তন
পরীক্ষা বা ম্যামোগ্রাম করান যাতে
কোনো রোগ থাকলে তা শনাক্ত করা যায়
দ্রুত। তবে পারিবারিক ইতিহাস না থাকলে
ম্যামোগ্রাম না করিয়ে সাধারণ ডাক্তারি
পরীক্ষা করাতে পারেন।
১০) থাকুন ইমপ্ল্যান্ট এবং কেমিক্যাল থেকে
দূরে: ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট এবং এনহান্সিং
কেমিক্যালগুলো আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের
জন্যই ভীষণ ঝুকিপুর্ণ। এগুলো থেকে যথাসম্ভব
দূরে থাকুন।
১১) ব্রেস্ট ফিডিং করান: আপনি মা হয়ে
থাকলে অবশ্যই বাচ্চাকে সঠিক উপায়ে
ব্রেস্ট ফিডিং করান। তা আপনার স্তনের
সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে।
১২) ঝুঁকির ব্যাপারে জেনে রাখুন: আপনার
পারিবারিক ইতিহাসে কারও ব্রেস্ট
ক্যান্সার আছে কিনা তা জানা থাকলে
নিজের ঝুঁকির ব্যাপারেও আপনি সতর্ক
থাকতে পারবেন।

Related

Medical Tips 1432182223010792783

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় পাঠক! যদি পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগে থাকে, অথবা পোস্টটিতে আপনার সমস্যা থেকে থাকে তবে একটি গঠনমূলক মন্তব্য করার অনুরোধ করছি । কারন আপনার একটি ভালো মন্তব্য লেখককে আরো ভালো পোস্ট লেখার অনুপ্রেরণা যোগাবে। আশাকরি এমন কোন মন্তব্য করবেন না, যা পড়লে লেখকের কাছে খারাপ লাগতে পারে । সাথেই থাকুন ধন্যবাদ....

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

emo-but-icon

পেজে লাইক দিন l

ভিজিট করেছেন

item