বিবাহ পূর্ব যৌন মিলনে নারীরা যে সমস্যাতে ভোগে,

বিয়ে এমন একটি সামাজিক বন্ধন, যা সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে শারীরিক সম্পর্কের অনুমতি দেয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলো লিভ টুগেদার প্রথাটি ব্যাপকভাবে প্...

বিয়ে এমন একটি সামাজিক বন্ধন,
যা সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে শারীরিক
সম্পর্কের অনুমতি দেয়। পাশ্চাত্যের
দেশগুলো লিভ টুগেদার প্রথাটি ব্যাপকভাবে
প্রচলিত। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের
কারণে আমাদের দেশে আজকাল এ প্রথার
উদাহরণ দেখা দিলেও তা সামাজিকভাবে
গৃহীতই বটে। আমাদের দেশের সমাজে
তথাকথিত লিভ টুগেদার স্বীকৃত নয়। ফলে এ
সম্পর্ক বিবাহ পূর্ব অবৈধ যৌন সম্পর্ক
হিসেবেই গণ্য করা হয়।
পৃথিবীর সব ধর্মেই বিয়ের আগে শারীরিক
সম্পর্ককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে
রয়েছে কড়া নিষেধ। এমনকি এ কাজ যে
করবে তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে কঠিন
শাস্তি। এই বিধানের পেছনে নিশ্চয়ই কারণ
রয়েছে। আর কারণটি হলো সামাজিক, ধর্মীয়
ও মানসিক অবক্ষয় থেকে নিজেকে দূরে
রাখা।
আমাদের সমাজে এমন অনেক পুরুষ রয়েছেন
যারা শুধুমাত্র নারীদেহ ভোগ করার
উদ্দেশ্যেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন
এবং কাজ হাসিল হয়ে গেলে সম্পর্কের
দায়ভার নিতে চান না। নারীরাও যে এমন
করে না তা নয়, তবে তুলনামূলকভাবে এমন
নারীর সংখ্যা কম। আশংকার ব্যাপার হচ্ছে
আজকাল অনেক উঠতি বয়সী মেয়েই এই
ধরণের শারীরিক সম্পর্ককে আধুনিকতা মনে
করে থাকে। অথচ বিয়ের আগে শারীরিক
সম্পর্কের ফলে যে সমস্যা দেখা দেয়, তা
পোহাতে হয় নারীদেরকেই! মোদ্দাকথা
হলো, বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক
নারীদের ঠেলে দিতে পারে ঝুঁকির মুখে,
তাদের জীবনে ডেকে আনতে পারে
নানাবিধ মারাত্মক সমস্যা। তাই সাবধান
হোন এবং জেনে নিন অনাকাঙ্খিত
সমস্যাগুলো সম্পর্কে।
অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ: বিয়ের আগে
শারীরিক সম্পর্কের সবচেয়ে ভয়াবহ যে
সমস্যাটি হতে পারে তা হলো অনাকাঙ্খিত
গর্ভধারণ। নিরোধক ব্যবহারের পূর্ব
পরিকল্পনা না থাকা, আবেগের বশে হঠাত্
করেই যৌন সম্পর্ক করা ইত্যাদি এর অন্যতমত
কারণ। শারীরিক সম্পর্কের চিহ্ন ধারণ করে
সাধারণত মেয়েরাই। কোনো মেয়ের
শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কি না তা
ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা
যায়, কিন্তু ছেলেদের যায় না। একইভাবে
গর্ভধারণের যাবতীয় সমস্যার মধ্য দিয়ে
যেতে হয় শুধু মেয়েদেরই। এর ফলে পরিবার,
সমাজ এবং নিজের কাছে অপরাধী হতে হয়
নারীদের।
ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাত: বিয়ের আগে শারীরিক
সম্পর্কের ফলে গর্ভধারণ করে ফেললে তখন
গর্ভপাত করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে
না। গর্ভপাত একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়া। এতে
যেমন শারীরিক ক্ষতি হয় তেমনি মানসিক
ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হয়। গর্ভপাতের সময়
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণসহ নানা ধরনের
শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এর
দীর্ঘমেয়াদী কুফলও রয়েছে। যেমন
পরবর্তীতে গর্ভধারণে সমস্যা হওয়া বা
গর্ভধারণ করতে না পারা ইত্যাদি। প্রথম
সন্তান জন্মদানের আগে গর্ভপাতের ঘটনা
ঘটলে পরবর্তীতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
সন্তান ধারনে সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভপাতের
মানসিক ক্ষতিও কম নয়। সন্তান হারিয়ে
অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
এমনকি অনেকে বিকারগ্রস্ত পর্যন্ত হয়ে
পড়ে।
জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল ও অন্যান্য ঝুঁকি: বিয়ের
আগে শারীরিক সম্পর্কের কারণে অনেকেই
জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল বা অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ
করে থাকে। অনবরত জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল
গ্রহণ অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করলেও
ডেকে আনতে পারে মারাত্মক সব সমস্যা। এর
মধ্যে অন্যতম হলো সন্তানধারণের ক্ষমতা
হারানো। প্রথম সন্তান জন্মের আগেই
দীর্ঘদিন পিল গ্রহণের ফলে পরবর্তীতে
গর্ভধারণে ঝুঁকি হতে পারে, হতে পারে
বারবার গর্ভপাতের সমস্যা। এছাড়া
হরমোনের সমস্যা, মুটিয়ে যাওয়া, খাবারে
অনীহা,সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়ে যাওয়া
ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
অপ্রাপ্ত বয়সে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর
ঝুঁকি: বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই কিশোর-
কিশোরীদের মধ্যে শারীরিক বিষয়াবলির
প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। ফলে প্রেমের
সম্পর্কে কোনো কিছু না ভেবেই শারীরিক
সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা তাদের
মধ্যে দেখা যায় বেশি। কিন্তু অপরিণত বয়সে
শারীরিক সম্পর্কের পরিণতি হতে পারে
মারাত্মক। এর ফলে হতে পারে যৌনসংক্রমণ,
ক্যানসারের মতো ভয়াবহ সব রোগ। বিশেষ
করে কমবয়সী মেয়েরা থাকে হুমকির মুখে।
জরায়ুমুখ সংক্রমণ ও জরায়ুমুখ ক্যানসারের
ঝুঁকি থাকে সর্বোচ্চ।
মানসিক ভীতি: বিয়ের আগে শারীরিক
সম্পর্ক মানে প্রথমবারের মতো যৌন সম্পর্ক
স্থাপন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই
কাজটি প্রেমিক যুগলেরা করে থাকে
লুকিয়ে, যা পরবর্তীতে একজন নারীর জন্য
মানসিক ভীতি বা বিকারের কারণ হয়ে
দাড়ায়। বিশেষ করে অনেক ক্ষেত্রেই
প্রেমিকেরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রেমিকাকে
চাপ প্রয়োগ করে মিলিত হয়ে থাকে। পরে
সম্পর্কটি ভেঙে গেলে এসব অনেক মেয়ের
ওপর এমন মানসিক চাপ ফেলে, যা ক্রমশ
বিকারে রূপ নেয়। যেমন শারীরিক সম্পর্কে
অনীহা বা ভীতি, বিবাহভীতি, পুরুষদের
প্রতি ঘৃণা বা ভয় ইত্যাদি। এর ফলে যেমন
প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে, তেমনি
ভাঙন আসতে পারে বিয়ের সম্পর্কেও।
বিয়ের পর দাম্পত্যে সমস্যা: বিয়ের আগে
প্রেমিকের সাথে শারীরিক সম্পর্কে
জড়ালে দাম্পত্যজীবনেও দেখা দিতে পারে
নানা সমস্যা। নারীরা হয় স্বামীর
অবিশ্বাসের পাত্র।

Related

পেনিস সহজে বড়, মজবুত ও মোটা করার উপায় কি?

কোনো ব্যায়াম বা যাদুকরি মালিশ পেনিসের আকার পরিবর্তন করতে পারেনা। সার্জারির মাধ্যমে পেনিস বড় করা যায়, কিন্তু সেটা অনেক ব্যয়বহুল ব্যাপার। আসলে তিন ইঞ্চি পরিমাণ লম্বা লিঙ্গই সুস্হ্য সেক্স লাইফের জন্য ...

বেস্ট সেক্সের উপযুক্ত আসন

পৃথিবী ব্যাপি বিভিন্ন প্রকারের যৌন আসন রয়েছে। এগুলোর ব্যাখ্যা আমরা বিভিন্ন সময়ে জেনেছি। এটা বলার দরকার যে যৌন মিলনের জন্য যৌন আসন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। পুরুষ কিংবা নারীর যৌন আনন্দ এবং চরমপুলক নি...

পেছনের দিক থেকে সঙ্গম করার আসন

পুরুষ ও নারী অধিক মোটা হলে বা নারীটি গর্ভবতী হলে এই আসনে সঙ্গম করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে নারীটি হাটু বাকিয়ে সামনের দিকে ঝুকে পা দুটো হাল্কা ফাক করে ধরবে এবং শরীরের ওপরের অংশ নিচু করবে। ফলে যোনিমুখ...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় পাঠক! যদি পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগে থাকে, অথবা পোস্টটিতে আপনার সমস্যা থেকে থাকে তবে একটি গঠনমূলক মন্তব্য করার অনুরোধ করছি । কারন আপনার একটি ভালো মন্তব্য লেখককে আরো ভালো পোস্ট লেখার অনুপ্রেরণা যোগাবে। আশাকরি এমন কোন মন্তব্য করবেন না, যা পড়লে লেখকের কাছে খারাপ লাগতে পারে । সাথেই থাকুন ধন্যবাদ....

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

emo-but-icon
:noprob:
:smile:
:shy:
:trope:
:sneered:
:happy:
:escort:
:rapt:
:love:
:heart:
:angry:
:hate:
:sad:
:sigh:
:disappointed:
:cry:
:fear:
:surprise:
:unbelieve:
:shit:
:like:
:dislike:
:clap:
:cuff:
:fist:
:ok:
:file:
:link:
:place:
:contact:

পেজে লাইক দিন l

ভিজিট করেছেন

550,688
item