স্বামীর উপর স্ত্রীর হক ও কোন কোন দ্বীনদারদের এ ব্যাপারে অবহেলা...
হাদীস-২৮: হযরত ওকাবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ বিবাহের সময়কৃত শর্তাবলী আদায় করার ব্যাপারে খুব যত্মবান থাকবে। (বুখার...
https://abhera.blogspot.com/2016/02/blog-post_6.html
হাদীস-২৮:
হযরত ওকাবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ বিবাহের
সময়কৃত শর্তাবলী আদায় করার ব্যাপারে খুব যত্মবান থাকবে। (বুখারী, মুসলিম)
অর্থাৎ–মহর আদায় কর, স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ দাও, বাসস্থানের ব্যবস্থা কর ও স্ত্রীর সাথে সদ্ব্যববহার কর।
অনেক স্বামী অযথা স্ত্রীকে তার মা—বাপের কাছে থাকতে এবং তাদের সাথে খেতে বাধ্য করে থাকে। স্ত্রী যদি খুশীমনে তা মেনে নেয় তাহলে কোন অসুবিধা নেই। অন্যথায় এ কাজে তাকে বাধ্য করা স্বামীর জন্য জায়েজ হবে না।
অনুরূপ ভাবে অনেক লোক মাতা-পিতার কারণে স্ত্রীর সাথে অনেক বাড়াবাড়ী করে এবং তাদের হক নষ্ট করে। এমনকি অনেক দ্বীনদার আলেমও এ অপরাধে লিপ্ত। এটা তাদের মারাত্মক ভুল।
অনুরূপ ভাবে ভরণ পোষণের ব্যাপারেও অনেক লোক সীমালংঘণ করে থাকে। যদি কোন ব্যক্তির আয় এতটুকু হয় যে, তা মাতা-পিতার জন্য ব্যয় করলে স্ত্রীকে তার খরচ দেয়া যায় না আর স্ত্রীকে দিতে গেলে মা—বাপকে দেয়া যায় না। এমনবস্থায় স্ত্রীকে জন্য ব্যয় করা জরুরী—পিতা—মাতার জন্য জরুরী না। এই মাসআলাটি না জানার কারণে অনেক সোনার সংসার ভেঙ্গে যেতে দেখা গেয়েছে। অনেক শাশুড়ী এতই নির্দয় ও জালেম যে, কথায় কথায় বউদের উপর অকথ্য নির্যাতন করে বসে এবং ছেলের কাছে বউয়ের বদনাম করে পরস্পর মন কষা-কষি সৃষ্টি করে। ফলে বেচারী বউ হয়ত নির্যাতন সহ্য করে থাকবে নতুবা বাপের বাড়ী চলে যায়। এ ব্যাপারে স্বামীগণ আল্লাহর নিকট জবাব্দিহি করতে হবে।
বেহেশতী গওহারে হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহঃ) লিখেছেন এ, যদি কারো আয় এতই কম হয় যে। মাতা—পিতার খেদমত করতে গেলে বিবি বাচ্ছাদের কষ্ট হয় তাহলে মাতা—পিতার জন্য ব্যয় করে বিবি—বাচ্ছাদেরকে কষ্টে ফেলা তার জন্য জায়েজ হবে না। আবার স্ত্রী যদি মা—বাপ থেকে পৃথক হতে চায় তাহলে মা—বাপের সাথে একত্রিত থাকার জন্য স্ত্রীকে বাধ্য করার অধিকার স্বামীর নেই বরং স্ত্রীর জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব। মাতা—পিতা যদি শরীয় কোন কারণ ব্যতীত স্ত্রীকে তালাক দেয়ার কথা বলে তাহলে এমনাবস্থায় মাতা-পিতার আনুগত্য করা ওয়াজিব নয়। মা—বাপ যদি বলে যে, তোমার সমস্ত আয় আমাদেরকে দিয়ে দাও তখনও মাতা—পিতার আনুগত্য করা জরুরী নয়। মাতা—পিতা যদি এতে ছেলেকে বাধ্য করে তাহলে তারা গুনাহগার হবে।
খুশী মনে না দিলে কোন মুসলমানের সম্প[অদ কারো জন্য হালাল নয়। (বেহেশতী জেওর খঃ ১১ পৃঃ ১৪৬)
একটি হাদীসে বলা হয়েছে যে, তোমার পিতা যদি তোমাকে আপন স্ত্রীকে তালাক দেয়ার কথা বলে তাহলে তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও এবং মাতা—পিতার অধিকার সম্পর্কে এ ধরণের হাদীস যে সমস্ত হাদীস রয়েছে তার বিস্তারিত উত্তর মাওলানা থানবী (রহঃ) বেহেশতী জেওর ১১ শ খন্ডে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করেছেন।
অর্থাৎ–মহর আদায় কর, স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ দাও, বাসস্থানের ব্যবস্থা কর ও স্ত্রীর সাথে সদ্ব্যববহার কর।
অনেক স্বামী অযথা স্ত্রীকে তার মা—বাপের কাছে থাকতে এবং তাদের সাথে খেতে বাধ্য করে থাকে। স্ত্রী যদি খুশীমনে তা মেনে নেয় তাহলে কোন অসুবিধা নেই। অন্যথায় এ কাজে তাকে বাধ্য করা স্বামীর জন্য জায়েজ হবে না।
অনুরূপ ভাবে অনেক লোক মাতা-পিতার কারণে স্ত্রীর সাথে অনেক বাড়াবাড়ী করে এবং তাদের হক নষ্ট করে। এমনকি অনেক দ্বীনদার আলেমও এ অপরাধে লিপ্ত। এটা তাদের মারাত্মক ভুল।
অনুরূপ ভাবে ভরণ পোষণের ব্যাপারেও অনেক লোক সীমালংঘণ করে থাকে। যদি কোন ব্যক্তির আয় এতটুকু হয় যে, তা মাতা-পিতার জন্য ব্যয় করলে স্ত্রীকে তার খরচ দেয়া যায় না আর স্ত্রীকে দিতে গেলে মা—বাপকে দেয়া যায় না। এমনবস্থায় স্ত্রীকে জন্য ব্যয় করা জরুরী—পিতা—মাতার জন্য জরুরী না। এই মাসআলাটি না জানার কারণে অনেক সোনার সংসার ভেঙ্গে যেতে দেখা গেয়েছে। অনেক শাশুড়ী এতই নির্দয় ও জালেম যে, কথায় কথায় বউদের উপর অকথ্য নির্যাতন করে বসে এবং ছেলের কাছে বউয়ের বদনাম করে পরস্পর মন কষা-কষি সৃষ্টি করে। ফলে বেচারী বউ হয়ত নির্যাতন সহ্য করে থাকবে নতুবা বাপের বাড়ী চলে যায়। এ ব্যাপারে স্বামীগণ আল্লাহর নিকট জবাব্দিহি করতে হবে।
বেহেশতী গওহারে হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহঃ) লিখেছেন এ, যদি কারো আয় এতই কম হয় যে। মাতা—পিতার খেদমত করতে গেলে বিবি বাচ্ছাদের কষ্ট হয় তাহলে মাতা—পিতার জন্য ব্যয় করে বিবি—বাচ্ছাদেরকে কষ্টে ফেলা তার জন্য জায়েজ হবে না। আবার স্ত্রী যদি মা—বাপ থেকে পৃথক হতে চায় তাহলে মা—বাপের সাথে একত্রিত থাকার জন্য স্ত্রীকে বাধ্য করার অধিকার স্বামীর নেই বরং স্ত্রীর জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব। মাতা—পিতা যদি শরীয় কোন কারণ ব্যতীত স্ত্রীকে তালাক দেয়ার কথা বলে তাহলে এমনাবস্থায় মাতা-পিতার আনুগত্য করা ওয়াজিব নয়। মা—বাপ যদি বলে যে, তোমার সমস্ত আয় আমাদেরকে দিয়ে দাও তখনও মাতা—পিতার আনুগত্য করা জরুরী নয়। মাতা—পিতা যদি এতে ছেলেকে বাধ্য করে তাহলে তারা গুনাহগার হবে।
খুশী মনে না দিলে কোন মুসলমানের সম্প[অদ কারো জন্য হালাল নয়। (বেহেশতী জেওর খঃ ১১ পৃঃ ১৪৬)
একটি হাদীসে বলা হয়েছে যে, তোমার পিতা যদি তোমাকে আপন স্ত্রীকে তালাক দেয়ার কথা বলে তাহলে তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও এবং মাতা—পিতার অধিকার সম্পর্কে এ ধরণের হাদীস যে সমস্ত হাদীস রয়েছে তার বিস্তারিত উত্তর মাওলানা থানবী (রহঃ) বেহেশতী জেওর ১১ শ খন্ডে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করেছেন।
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷