স্বাভাবিক পদ্ধতির বরখেলাপ স্ত্রী সহবাস করা
হাদিস-৩৫: ইবনে আব্বাছ (রাঃ) বর্ণনা করেন—রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য খামার। তোমরা খামারের স...
https://abhera.blogspot.com/2016/02/blog-post_89.html
হাদিস-৩৫:
ইবনে আব্বাছ (রাঃ) বর্ণনা করেন—রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা
বলেন, তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য খামার। তোমরা খামারের সন্মুখ থেকে
অথবা পিছন থেকে তোমরা সহবাস কর। তবে পিছন-পথে ও হায়েয ওয়ালী মহিলার সাথে
সহবাস করা থেকে বিরত থাক। (তিরমিযী) হায়েজের অবস্থায় সামনের রাস্তা দিয়ে
যেমন স্ত্রী-সহবাস করা
হারাম, তেমনি সর্বাবস্থায় পিছনের রাস্তা দিয়ে সহবাস করা হারাম। আজকাল অনেক
মুসলমান শাহওয়াতের তাকীদ এই জঘন্য অপরাধে লিপ্ত। একে সম্পূর্ণ ভাবে
পরিত্যাগ করা এবং তাওবা করা উচিৎ।
হাদীস-৩৬: হযরত খুযাইমা ইবনে ছাবেত (রাঃ) বর্ণনা করেন—রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ সত্য প্রকাশ করতে আল্লাহ তাআলা লজ্জাবোধ করেন না। তোমরা মহিলাদের সাথে পিছন পথে সহবাস করো না। (আহমাদ)
আল্লাহ তাআলা কোন হক কথাই ছেড়ে দেন না। বরং তা প্রকাশ করতে দেন। হাদীসে প্রথমে এ কথাতি বলার উদ্দেশ্য হলো যে, এই কাজটি এতই নিন্দনীয় যে, একে উচ্চারণ করা এবং এ সম্পর্কে আলোচনা করাও ঠিক নয়। কিন্তু শরীয়তের হুকুম প্রকাশ না করেও উপায় নেই। আর তা হলো যে, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সাথে পিছন পথে সহবাস করো না। কারণ এটা জঘন্যতম হারাম কাজ। আবার এ কাজ আপন স্ত্রীর সাথেই যখন হারাম, তাহলে পুরুষ এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক বালকদের সাথে তো আরো জঘন্যতম হারাম হবে। যেমন চিল খাওয়া হারাম এবং শুকর খাওয়াও হারাম কিন্তু দ্বিতীয়টি প্রথমটির চেয়ে বড় হারাম।
হাদীস-৩৭: হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ অভিশপ্ত সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর সাথে পিছন পথে সহবাস করে। (আহমাদ, আবু দাউদ)
আজকাল এক শ্রেণীর যুবক এই ঘৃন্য কাজ ওৎপ্রোতভাবে লিপ্ত। এরা দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতেই অভিশপ্ত। ডাক্তারী মতেও এ কাজ মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে অল্প দিনেই পুরুষাঙ্গ ছোট হয়ে যায় ফলে প্রথমতঃ ক্ষয় রোগ সৃষ্টি হয়ে অবশেষে পুরুষকে ধ্বজভঙ্গ রগ দেখা দেয়। পরিণামে স্বামী পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলে এবং বেচারী স্ত্রী তার যৌন-চাহিদা মেটাতে না পেরে নিরুপায় হয়ে অন্য পুরুষের সাথে অপকর্মে লিপ্ত হয়। আল্লাহ আমাদেরকে এবং সকল মহিলাকে এর থেকে রক্ষা করুণ। আমীন।
হাদীস-৩৮: যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে পিছন –পথে সহবাস করে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তার দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না। (শরহুস সুন্নাহ)
হাদীস-৩৯: হযরত ইবনে আব্বাছ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন পুরুষ বা মহিলার সাথে পিছন পথে সহবাস করে, আল্লাহ তাআলা তার দিকে তাকাবেন না।
এমন ব্যক্তি আল্লাহর রহমত থেকে দূরে থাকবে। আল্লাহ তাআলার না তাকানোর ব্যাখ্যাটি একটি দ্বারা বুঝা যেতে পারে যে, এক ব্যক্তি কোন এক অনুষ্ঠানে তার সকল আত্মীয়-স্বজনকে খাওয়ার নিমন্ত্রণ করে। সকলেই এসে অনুষ্ঠানে সমবেত হয়। উল্লেখ্য যে, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণীর লোক থাকে, কিন্তু থাকলে স্মমানের পাত্র নিকটতম ব্যক্তি, কেউ সাধারণ বন্ধু আবার কেউ থাকে শত্রু। সম্মানিত ও বন্ধুজনদের সাথে যেমন আচরণ ও ব্যবহার করা হয়, শত্রুদের সাথে তেমন ব্যবহার করা হয় না। বিশেষত শত্রুতা যদি চরম আকার ধারণ করে। যেমন তাকে সালাম করবে না এবং তাকে ভাল মন্দ কিছুই জিজ্ঞাসা করবে না ও তার সাথে কথা বলবে না। যখন খাওয়ার সময় হবে তখন তাকে দাকবে না। এ অবস্থায় তার কতটুকু অপমান হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ঠিক এমনিভাবে আল্লাহ তাআলা যখন পূর্বাপর সকল মানুষকে একত্রিত করবেন তখন তিনি তার বন্ধুদেরকে ইজ্জত ও সম্মানের সাথে সাদরে গ্রহণ করবেন । তাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ও তাদেরকে সম্মানের সাথে বসাবেন। অবশেষে অতি যত্নের সাথে তাদেরকে জান্নাতে স্থা দিবেন। আরশের ছায়ার নীচে স্থান দিবেন, জামাতের দস্তরখানে জান্নাতের ফল-মূল খেতে দিবেন।
পক্ষান্তরে যারা আল্লাহর নাফরমান ও গুনাহগার বান্দা এবং পুরুষের সাথে অপকর্মে লিপ্ত এবং মহিলাদের পিছন পথে সহবাসে অভ্যস্ত তাদের দিকে তিনি তাকাবেন না। তাদের উপর রহমত বর্ষণ করবেন না, আরশের ছায়ার নীচে স্থান দিবেন না ও জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। কারণ এরা আল্লাহর অবাধ্য বান্দা। এদের সাথে আল্লাহর ক্রোধ রয়েছে। হযরত লুত (আঃ)—এর জাতিকে এই অপরাধের কারণেই আল্লাহ তাআলা ধ্বংস করে দিয়েছেন। তাদের গোটা শহরকে উলট-পালট করে দিয়েছেন এবং পাথর নিক্ষেপ করে তাদের সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এহেন অপকর্মে থেকে চির জিবনের জন্য তাওবা করা উচিৎ। এ ধরণের লোক দুনিয়াতে আজ হোক কাল হোক একদিন অপদস্ত হবেই এবং তার এই অপকর্ম একদিন সকলের কাছে ফাঁস হয়ে যাবেই। কোন স্বামী যদি এমন কাজের কথা বলে, তাহলে স্ত্রীদের উচিৎ বাধা দেয়া এবং এ ব্যাপারে স্বামীর কথা না মানা। কারণ এটা হারাম ও অবৈধ কাজ। যে এই কাজ করবে এবং যে সহযোগিতা করবে উভয়ই গুনাহগার হবে। ভবিষ্যতে উভয়েই হবে ক্ষতিগ্রস্ত কারণ এ ধরণের পুরুষ অল্প দিনেই পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলে।
হাদীস-৩৬: হযরত খুযাইমা ইবনে ছাবেত (রাঃ) বর্ণনা করেন—রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ সত্য প্রকাশ করতে আল্লাহ তাআলা লজ্জাবোধ করেন না। তোমরা মহিলাদের সাথে পিছন পথে সহবাস করো না। (আহমাদ)
আল্লাহ তাআলা কোন হক কথাই ছেড়ে দেন না। বরং তা প্রকাশ করতে দেন। হাদীসে প্রথমে এ কথাতি বলার উদ্দেশ্য হলো যে, এই কাজটি এতই নিন্দনীয় যে, একে উচ্চারণ করা এবং এ সম্পর্কে আলোচনা করাও ঠিক নয়। কিন্তু শরীয়তের হুকুম প্রকাশ না করেও উপায় নেই। আর তা হলো যে, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সাথে পিছন পথে সহবাস করো না। কারণ এটা জঘন্যতম হারাম কাজ। আবার এ কাজ আপন স্ত্রীর সাথেই যখন হারাম, তাহলে পুরুষ এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক বালকদের সাথে তো আরো জঘন্যতম হারাম হবে। যেমন চিল খাওয়া হারাম এবং শুকর খাওয়াও হারাম কিন্তু দ্বিতীয়টি প্রথমটির চেয়ে বড় হারাম।
হাদীস-৩৭: হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ অভিশপ্ত সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর সাথে পিছন পথে সহবাস করে। (আহমাদ, আবু দাউদ)
আজকাল এক শ্রেণীর যুবক এই ঘৃন্য কাজ ওৎপ্রোতভাবে লিপ্ত। এরা দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতেই অভিশপ্ত। ডাক্তারী মতেও এ কাজ মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে অল্প দিনেই পুরুষাঙ্গ ছোট হয়ে যায় ফলে প্রথমতঃ ক্ষয় রোগ সৃষ্টি হয়ে অবশেষে পুরুষকে ধ্বজভঙ্গ রগ দেখা দেয়। পরিণামে স্বামী পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলে এবং বেচারী স্ত্রী তার যৌন-চাহিদা মেটাতে না পেরে নিরুপায় হয়ে অন্য পুরুষের সাথে অপকর্মে লিপ্ত হয়। আল্লাহ আমাদেরকে এবং সকল মহিলাকে এর থেকে রক্ষা করুণ। আমীন।
হাদীস-৩৮: যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে পিছন –পথে সহবাস করে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তার দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না। (শরহুস সুন্নাহ)
হাদীস-৩৯: হযরত ইবনে আব্বাছ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন পুরুষ বা মহিলার সাথে পিছন পথে সহবাস করে, আল্লাহ তাআলা তার দিকে তাকাবেন না।
এমন ব্যক্তি আল্লাহর রহমত থেকে দূরে থাকবে। আল্লাহ তাআলার না তাকানোর ব্যাখ্যাটি একটি দ্বারা বুঝা যেতে পারে যে, এক ব্যক্তি কোন এক অনুষ্ঠানে তার সকল আত্মীয়-স্বজনকে খাওয়ার নিমন্ত্রণ করে। সকলেই এসে অনুষ্ঠানে সমবেত হয়। উল্লেখ্য যে, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণীর লোক থাকে, কিন্তু থাকলে স্মমানের পাত্র নিকটতম ব্যক্তি, কেউ সাধারণ বন্ধু আবার কেউ থাকে শত্রু। সম্মানিত ও বন্ধুজনদের সাথে যেমন আচরণ ও ব্যবহার করা হয়, শত্রুদের সাথে তেমন ব্যবহার করা হয় না। বিশেষত শত্রুতা যদি চরম আকার ধারণ করে। যেমন তাকে সালাম করবে না এবং তাকে ভাল মন্দ কিছুই জিজ্ঞাসা করবে না ও তার সাথে কথা বলবে না। যখন খাওয়ার সময় হবে তখন তাকে দাকবে না। এ অবস্থায় তার কতটুকু অপমান হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ঠিক এমনিভাবে আল্লাহ তাআলা যখন পূর্বাপর সকল মানুষকে একত্রিত করবেন তখন তিনি তার বন্ধুদেরকে ইজ্জত ও সম্মানের সাথে সাদরে গ্রহণ করবেন । তাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ও তাদেরকে সম্মানের সাথে বসাবেন। অবশেষে অতি যত্নের সাথে তাদেরকে জান্নাতে স্থা দিবেন। আরশের ছায়ার নীচে স্থান দিবেন, জামাতের দস্তরখানে জান্নাতের ফল-মূল খেতে দিবেন।
পক্ষান্তরে যারা আল্লাহর নাফরমান ও গুনাহগার বান্দা এবং পুরুষের সাথে অপকর্মে লিপ্ত এবং মহিলাদের পিছন পথে সহবাসে অভ্যস্ত তাদের দিকে তিনি তাকাবেন না। তাদের উপর রহমত বর্ষণ করবেন না, আরশের ছায়ার নীচে স্থান দিবেন না ও জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। কারণ এরা আল্লাহর অবাধ্য বান্দা। এদের সাথে আল্লাহর ক্রোধ রয়েছে। হযরত লুত (আঃ)—এর জাতিকে এই অপরাধের কারণেই আল্লাহ তাআলা ধ্বংস করে দিয়েছেন। তাদের গোটা শহরকে উলট-পালট করে দিয়েছেন এবং পাথর নিক্ষেপ করে তাদের সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এহেন অপকর্মে থেকে চির জিবনের জন্য তাওবা করা উচিৎ। এ ধরণের লোক দুনিয়াতে আজ হোক কাল হোক একদিন অপদস্ত হবেই এবং তার এই অপকর্ম একদিন সকলের কাছে ফাঁস হয়ে যাবেই। কোন স্বামী যদি এমন কাজের কথা বলে, তাহলে স্ত্রীদের উচিৎ বাধা দেয়া এবং এ ব্যাপারে স্বামীর কথা না মানা। কারণ এটা হারাম ও অবৈধ কাজ। যে এই কাজ করবে এবং যে সহযোগিতা করবে উভয়ই গুনাহগার হবে। ভবিষ্যতে উভয়েই হবে ক্ষতিগ্রস্ত কারণ এ ধরণের পুরুষ অল্প দিনেই পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলে।
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷